
মারাত্মক ছয় রোগ থেকে মুক্তি দেবে মিষ্টি কুমড়ার বীজ
মিষ্টি কুমড়া খুবই পুষ্টিকর একটি সবজি। খেতেও দারুণ সুস্বাদু। তবে মিষ্টি কুমড়া খেলেও এর বীজ নিশ্চয় ফেলে দেন? এখানেই হচ্ছে মারাত্মক ভুল। জানলে অবাক হবেন, মিষ্টি কুমড়ার মতো এর বীজেরও রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ।
বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় মিষ্টি কুমড়ার বীজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে, আমাদের দেহের মারাত্মক ছয় রোগ থেকে রক্ষা করে কুমড়ার বীজ।
বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় মিষ্টি কুমড়ার বীজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
সে-কারণে মিষ্টি কুমড়ার বীজ ফেলে দেয়ার মতো ভুলটি আর নয়। চলুন জেনে নেয়া যাক—মিষ্টি কুমড়ার বীজের প্রয়োজনীয় উপকারিতা :
বাতের ব্যথা
একটু বয়স বাড়লেই বাতের ব্যথায় ভুগতে দেখা যায় অনেককেই। জানেন কি, এই ব্যথা থেকে মুক্তি দেয় মিষ্টি কুমড়ার বীজ।
ভেঙে যাওয়া চর্বিসমূহ হাড়ের সন্ধিস্থলে জমা হয়ে ব্যথার সৃষ্টি হয়।
আর মিষ্টি কুমড়া চর্বিসমূহ হাড়ের সন্ধিস্থলে জমা হতে দেয় না। এভাবে মিষ্টি কুমড়ার বীজ বাতের ব্যথা কমিয়ে থাকে।
হাড়ক্ষয় রোধ
শরীরে জিংকের অভাব—হাড়ক্ষয় রোগের প্রধান কারণ। জিংকসমৃদ্ধ প্রাকৃতিক খাদ্যের অন্যতম উৎস—মিষ্টি কুমড়ার বীজ। মিষ্টি কুমড়ার বীজ হাড়ক্ষয় রোধ করে।
প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায়
মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে প্রচুর জিংক—যা প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া সবল শিশু জন্মসহ বিভিন্ন রোগ নিবারণ করে।
লৌহঘটিত রোগ প্রতিরোধ
লৌহঘটিত রোগ প্রতিরোধ করে মিষ্টি কুমড়ার বীজ। কারণ মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে প্রচুর আয়রন।
প্রতিদিন ৩৫ গ্রাম মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেলে দৈনিক চাহিদার প্রায় ৩০% পূরণ হবে।
প্রোস্ট্রেট গ্রন্থির টিউমার
মিষ্টি কুমড়ার বীজে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, জিংক ও ক্যারোটিনয়েড রয়েছে। মিষ্টি কুমড়ার বীজ থেকে উৎপন্ন তেল প্রোস্ট্রেট গ্রন্থির টিউমার নিয়ন্ত্রণ করে।
কোলেস্টেরল কমায়
খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত ফাইটোস্টেরল দেহের রক্তের কোলেস্টেরল কমায়। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
এ ফাইটোস্টেরলের এক বিশেষ উৎস—মিষ্টি কুমড়ার বীজ। মিষ্টি কুমড়ার বীজে ফাইটোস্টেলের পরিমাণ বাদামে উপস্থিত ফাইটোস্টেলের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি।
যার পরিমাণ ২৬৫ মিলিগ্রাম বা ১০০ গ্রাম। তাই মিষ্টি কুমড়ার বীজ অবশ্যই খাওয়া উচিত।
—ডেস্ক শুভ কৃষি
…………………
মিষ্টিকুমড়া সম্পর্কিত আরো কিছু তথ্য
মিষ্টিকুমড়ার বৈজ্ঞানিক নাম Cucurbita moschata—যা Cucurbitaceae পরিবারভুক্ত। এটি এক প্রকার ফল জাতীয় সবজি। এটি মিষ্টি লাউ নামেও পরিচিত।
মিষ্টিকুমড়া গাছের উৎপত্তিস্থল মধ্য আমেরিকা কিংবা দক্ষিণ আমেরিকার উত্তরাংশ হিসেবে ধরা হয়। Cucurbita moschata ছাড়াও আরো কয়েক প্রজাতির মিষ্টিকুমড়া রয়েছে,
যেমন—Cucurbita mixta, C. pepo, C. maxima, C. alba, C. moschata এবং এদের নানান প্রকরণ ও শংকর। এর মধ্যে C. moschata বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
মিষ্টিকুমড়ার আকার পেটমোটা গোল এবং পাকা অবস্থায় এর ভেতরের অংশ উজ্জ্বল কমলা বর্ণের হয়ে থাকে। এতে ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন আছে।
এটি প্রধানত তরকারি রান্না করে খাওয়া হয়। এটি খেতে কিছুটা মিষ্টি স্বাদযুক্ত। [উইকিপিডিয়া]
…………………
[সুপ্রিয় পাঠক, আপনিও শুভ কৃষি’র অংশ হয়ে উঠুন। কৃষি সম্পর্কিত দেশে-বিদেশের জানা-অজানা নানা বিষয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট ছবিসহ মেইল করুন : krishibdagriculture@gmail.com-এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।
উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট-ছবি পাওয়া না গেলে সমস্যা নেই। আমরা সংগ্রহ করে প্রকাশ করব। আর, আপনি নিজের নামে লেখা প্রকাশ করতে না-চাইলে, ছদ্মনামে অথবা সংগ্রহ হিসেবে প্রকাশ করা যাবে।
আমরা চাই—আপনার অংশগ্রহণ আনন্দপূর্ণ ও বন্ধুত্বের স্মারকে পরিণত হয়ে উঠুক। শুভ কামনা…]
Average Rating